রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন’ নয়, বরং ‘ট্রুথ অ্যান্ড হিলিং কমিশন’ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। এ লক্ষ্যে কমিশন গঠনের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ‘From Apartheid to Democracy: South African Insights for Bangladesh’ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানান সাদিক কায়েম।
সাদিক কায়েম বলেন, বাংলাদেশে ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন’ নয়, বরং ‘ট্রুথ অ্যান্ড হিলিং কমিশন’ প্রয়োজন। যেখানে ভুক্তভোগীদের কণ্ঠস্বর শোনা হবে এবং সত্যের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা পুনর্বাসনের পথে এগোবে।
ডাকসু ভিপি আরও বলেন, ডাকসু ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এমন একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে, যেখানে অভিজ্ঞতা মুক্তভাবে শেয়ার করে সত্য, দায়বদ্ধতা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল পার্টি সরকারের প্রধান আলোচক রোলফ মেয়ার বলেন, সংবিধানের মাধ্যমেই আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি সংবিধান ও প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালীকরণকে একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক সংসদ সদস্য ও আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের আলোচক মোহাম্মদ ভাবা বলেন, স্বপ্ন পূরণ করার জন্য গঠনমূলক রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে, ভাঙনমূলক নয়। তিনি অতীত সংগ্রামের শিক্ষা থেকে শেখা এবং সামাজিক ঐক্য বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
সেমিনারে জাগরণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শরীফ বান্না বলেন, ন্যায়বিচার ও সহমর্মিতার ভিত্তিতেই দেশকে নতুনভাবে সাজাতে হবে। সহমর্মিতার মাধ্যমে আশার সৃষ্টি হয়। সেই আশাই ছিলো স্বৈরাচার প্রত্যাখ্যানের মূল শক্তি। সেই একই আশা নিয়ে দেশ পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।